স্থানীয় যুবকদের উদ‍্যোগে দেড় বছর পর বাড়ি ফিরলো যুবক

27th August 2021 5:07 pm হুগলী
স্থানীয় যুবকদের উদ‍্যোগে দেড় বছর পর বাড়ি ফিরলো যুবক


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : শেওড়াফুলির স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে দেড় বছর পর বাড়ি ফিরল বরানগরের যুবক। নীরঞ্জন সেন নগর,উত্তর ২৪ পরগনার যুবক গত দুমাস ধরে শেওড়াফুলি রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ছিল তার ঠিকানা। বছর  ত্রিশের যুবককে পাঁচ ছয় নম্বর প্লাটফর্মের সাবওয়ের সিঁড়িতে
কয়েক মাস ধরে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। নাম ধাম জিজ্ঞাসা করলে কিছু বলতে পারে না। শুধু বলে উঠতো বরানগর। তাকে খাবার দেওয়া থেকে রোজ খোঁজ নিতে থাকে শেওড়াফুলির যুবকরা। রাখি বন্ধনের দিন রাখি বেঁধে খাবার দেয় শেওড়াফুলির গৃহশিক্ষকদের সংগঠন প্রয়াস। তাদের সঙ্গে অসামাজিক নামে আরো একটি সংগঠন যুবককে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নেয়। ফেসবুকে যুবকের ছবি ছেরে আবেদন করে কেউ খোঁজ পেলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। যুবকের পরিবার ফেসবুক দেখে যোগাযোগ করে। আজ শেওড়াফুলিতে এসে যুবককে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।  ভাস্করের ভাই অভিজিৎ জানায় দেড় বছর ধরে ঘর ছাড়া খুরতুতো দাদা ভাস্কর দাস। তারা অনেক খুঁজেও পায়নি। ফেসবুকের ছবি দেখে তাড়া জানতে পারে শেওড়াফুলিতে আছে ভাস্কর। নার্ভের অসুখ আছে তাই এর আগেও কয়েকবার বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল ভাস্কর বলে দাবি পরিবারের। শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতা যুবককে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।